ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর বেধরক পিটুনিতে লায়লা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন। এ ঘটনায় ঘাতক নিহতের স্বামী মো. ফিরোজকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জান যায়, নিহত লায়লা (৩০) গাইবান্ধা জেলার কনচিপাড়া এলাকার মো. ফিরোজের স্ত্রী ও একই জেলার বায়দাখালি এলাকার লালু সমশেরের মেয়ে। স্বামী, তিন শিশু ছেলে সন্তানকে নিয়ে উপজেলার পাড়াগ্রাম এলাকায় বাচ্চুর ভাড়া বাসায় থাকতেন লায়লা।
ভাড়া বাসার মালিক বাচ্চু জানান, আমার বাড়িতে গত দুইমাস ধরে ভাড়ায় থেকে ইট ভাঙ্গার কাজ করতেন লায়লা ও তার স্বামী ফিরোজ। বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফিরোজ লায়লাকে এলোপাথারি বেধরক মারপিট করলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তার স্বামীই স্থানীয়দের সহায়তায় লায়লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের ভাই তাজু ফিরোজকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতে হাসপাতাল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করাসহ তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ও গ্রেপ্তার ফিরোজকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।